স্বদেশ ডেস্ক:
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌযান আন্দামান সাগরে আটকা পড়েছে। এসব রোহিঙ্গাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌযানটিতে কতজন রোহিঙ্গা রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নৌকাটির সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে। সেটিতে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং তারা মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কয়েকজন প্রাণ হারাতে পারে। খবর বিবিসির।
নৌযানটিতে থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগেই খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেছে। সপ্তাহখানেক আগে নৌযানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তবে নৌযানটির অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্টাবারফিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সর্বশেষ সোমবার ভোরের দিকে ওই নৌযানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নৌযানে থাকা রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার। তবে আন্দামান সাগরে নৌযানটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলেও ওই এলাকার পরিচালিত সব নৌ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলসীমায় নৌযানটিকে খুঁজতে ও পাওয়া গেলে তাদের উদ্ধার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তারা এখনো জানেন না। ১০ দিন আগে টেকনাফ থেকে কোনো নৌযান সাগরে যাত্রা করার তথ্য জানা রয়েছে কিনা- সে বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ওসি জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।